সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রেস নোট ও হ্যান্ড আউট । Press Release, Press Note And Handout
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রেস নোট ও হ্যান্ড আউট । Press Release, Press Note And Handout
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা প্রেস রিলিজ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে পাঠাতে পারে যে কোন রাজনৈতিক দল, ক্লাব, সমিতি, ব্যবসায়ি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যক্তি যে কেউ বা যে কোন প্রতিষ্ঠান। কোন ছোট রাজনৈতিক দল তার জাতীয় কমিটির সভার বিবরনী লিখে পাঠিয়ে দিতে পারে পত্রিকা অফিসে। ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান জানাতে পারে যে, তাদের ত্রম. ডি যাচ্ছেন কোন বাণিজিক সম্মেলনে অংশ নিতে।
একটি এনজিও জানাতে পারে যে তারা নতুন ঋণ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে আগামীকাল থেকে, ফ্যাশন হাউস জানাতে পারে তারা যে ফ্যাশন শো করেছিল তাতে বিপুল দর্শক মুগ্ধ হয়েছেন ইত্যাদি। প্রতিদিন সংবাদপত্র অফিসে অসংখ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসে,যার অনেকগুলোই ছাপার অযোগ্য, আবার অনেকগুলো আসে সেগুলোর যথেষ্ট সংবাদ মূল্য আছে ত্রবং বেশ ভালোভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা।
ত্রসব নিয়েও সন্দেহ করার অবকাশ থেকে যায়। কারন তাতে লুকিয়ে থাকতে পারে “কাউন্টার জার্নালিজম” প্রবনতা। মানে জনসংযোগ কমকান্ড; তাই খোজঁ-খবর নিয়ে সাজাতে হয় সংবাদ।
অনেকগুলো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মধ্যে সেগুলোর সংবাদমূল্য আছে সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু বার্তা সম্পাদক বা প্রধান প্রতিবেদকের হাত ঘুরে যখন প্রতিবেদকের ডেস্কে আসে তখন তিনি চোখ বুলিয়ে বিরাট ত্রকটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে তথ্য গুলোকে অবিকৃত রেখে ছোট ত্রকটি রিপোর্ট তৈরি করতে পারেন। আবার ছোট ত্রকটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে হিন্ট নিয়ে তৈরি করতে পারেন বড়-সর ত্রকটি প্রতিবেদন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠাতে পারে যে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান যা সরকারি বক্তব্য নয় কোন ভাবেই। কিন্তু তারা হ্যান্ড আউট বা তথ্য বিবরনী পাঠাতে পারে না, কেবল সরকারই পারে তথ্য বিবরনী ইস্যু করতে। আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, অধিদপ্তর ত্ররাও হ্যান্ড আউট দিতে পারে না। ত্রই প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য বা ব্যাখ্যা জনসাধারনকে জানানো প্রয়োজন বোধ করলে সরকারের মাধ্যমে জানায় সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়কে। তথ্য মন্ত্রনালয় পি আই ডি বা প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট ত্রর মাধ্যমেই কেবল তথ্য বিবরনী সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোয় পৌঁছে দেয়। জনগনকে সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করার জন্য সরকার তথ্য বিবরনী প্রকাশ করে। তথ্য বিবরনীর আছে বিভিন্ন মাত্রার সংবাদ মূল্য; কোনো কোনোটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়। আবার কোনো কোনো তথ্য বিবরনী হয় ত্রকেবারে স্বল্প সংবাদ মূল্যের। তথ্য বিবরনী থেকে পাওয়া কোনো তথ্য যখন সংবাদপত্রগুলো ছাপে তখন তারা সংবাদ কাহিনীর শুরুতে বলে দেয়, “গতকাল ত্রক সরকারি তথ্য বিবরনীতে বলা হয়েছে . . . . . . “ বা ত্রকেবারে শেষে “তথ্য বিবরনী” শব্দদ্বয় মুদ্রিত করে দেয়।
প্রেস নোট
প্রেস নোট দিয়ে থাকে সরকার। খুব গুরুত্বপূর্ণ বা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের বক্তব্য বা ঘোষনাকে বলা হয় প্রেস নোট। কোনো ঘটনার ফলে যখন জনগনের মধ্যে ভয়-ভীতি-আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, গুজব ছড়াতে থাকে তখন সরকার ঘটনাটি পরিষ্কার ভাবে জনগনের সামনে তুলে ধরার জন্য প্রেস নোট ইস্যু করেন।
অনেক ঘটনার পরে আবার জনগন ঘটনা সম্পর্কে সরকারের বক্তব্য জানতে উদ্গ্রীব থাকেন, সেরকম ক্ষেত্রেও সরকারকে প্রেস নোট দিতে হয়। সরকার যখন কোনো প্রেস নোট ইস্যু করে তখন আশা করে যে সবগুলো সংবাদমাধ্যম তা গুরুত্বের সাথে কভার করবে।
তথ্য বিবরণী আর প্রেস নোটের মধ্যে মূল পার্থক্যটি হল, যে ঘটনা বা ইস্যু কিংবা বিষয়ে হ্যান্ড আউট বা প্রেস নোট করা হচ্ছে সেটির সাথে গুরুত্ব ও তাৎপর্যের। অর্থাৎ , ঘটনার প্রখরতার সম্পর্ক। সাদামাটা সাধারণ কিছুতে, যেখানে জনগণকে জ্ঞাত করার প্রয়োজন সরকার নিজে থেকে বোধ করে, সরকারি বক্তব্য জানার জন্য জনসাধারণের তেমন আগ্রহ থাকে না বা যে প্রসঙ্গে জনগণ ইতোমধ্যে জ্ঞাত নয়, সে রকম প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্যকে বলা হয় হ্যান্ড আউট।
অন্যদিকে যে সব কিছু তে জনগণের প্রবল আগ্রহ আছে, যে সম্পর্কে মানুষ সরকারের বক্তব্য জানতে উদগ্রীব এবং সরকারও সন্দেহ, গুজব নিবারণের প্রয়োজন বোধ করে সে রকম বিষয়ে সরকারের বক্তব্য কে বলা হয় প্রেস নোট।
প্রেস নোট ” প্রেস নোট” শিরোনামেই সংবাদপত্রে ছাপা হতে পারে। আবার তাকে সংবাদ আকারে শিরোনাম দিয়ে ছাপিয়ে সংবাদের ভিতরে উল্লেখ করা যায় যে, তথ্যগুলো প্রেস নোট থেকে দেয়া হয়েছে।
কিংবা প্রতিবেদক ঘটনার বর্ণনা নিজের মতো করে দিয়ে যেতে পারেন। এবং প্রেস নোটে কি বলা হয়েছে তা তুলে দিয়ে সরকারের বক্তব্য সম্পর্কে পাঠককে জানাতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার সাধারণত বড় কোন রাজনৈতিক গোলযোগ, যেখানে মৃত্যু বা পুলিশের গুলি করার বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে কিংবা বড় দুর্ঘটনা যেখানে মানুষের হতাহতের পরিমাণ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সে ধরনের ঘটনায় প্রেস নোট ইস্যু করা হয়
No comments