সাক্ষাতকার কি ? সাংবাদিকতায় সাক্ষাৎকার গ্রহণে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা
সাক্ষাতকার কি
সাংবাদিকতায় সাক্ষাৎকার বলতে যা বোঝায় তা হল রিপোর্টার ও সাক্ষাৎকারদাতার যোগাযোগের ফসল। রিপোর্টারর যদি আগ বাড়িয়ে কোনো খোঁজ খবর না নেয়,প্রশ্ন জিজ্ঞেস না করে তবে সংবাদপত্র হয়ে যায় আয়োজিত ঘটনা এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তির রেকর্ড।
সাধারণ অর্থে, সাক্ষাৎকার গ্রহণের উপর ভিত্তি করে রিপোর্টার যে সংবাদ তৈরি করেন তাকে সাক্ষাৎকার নির্ভর সংবাদ বলে।সাক্ষাৎকারকে বলা হয় সব সংবাদের উৎস। সমাজ ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে প্রচুর তথ্য থাকে। এ ধরন এর ব্যক্তিরা প্রতিটি বিষয়ে নিজস্ব যুক্তি নির্ভর মতামত পোষণ করেন, যা সাধারণ চিন্তা চেতনাকে নাড়া দিতে পারে একজন বুদ্ধিজীবী সমাজ উন্নয়নের জন্য যে প্রত্যাশা লালন করেন তা তাঁর পক্ষে ১৬ কোটি মানুষের ঘরে গিয়ে বলে আসা সম্ভব না।
এক্ষেত্রে রিপোর্টার একজন বিশেষ দূতের মতো কাজ করেন।তিনি নামী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করেন, প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে উত্তর লিপিবদ্ধ করেন এবং সাধারণ পাঠকের সামনে সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। একিভাবে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বক্তব্যও সমাজের নীতি নির্ধারকদের সামনে তুলে ধরা যায়।
.
আবার, একটি সাধারণ সংবাদ সংগ্রহের সময়ও রিপোর্টারের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল সাক্ষাৎকার। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একটি সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রিপোর্টার দেখলেন দুর্ঘটনা স্থলের সব কিছু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় রিপোর্টারর দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নিবেন। উক্ত এলাকার পুলিশ অফিসারের সাক্ষাৎকার নিবেন। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবেন। এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে রিপোর্টার দুর্ঘটনার সংবাদ গল্পটি তৈরি করবেন।
সাক্ষাতকার
গ্রহণে
প্রয়োজনীয়
নির্দেশিকা
সাংবাদিক হিসেবে
আমাদের
তথ্য
সংগ্রহ
করতে
হয়;
বিভিন্ন
সূত্র
থেকে
পাওয়া
তথ্যকে
আরও
সমৃদ্ধ
করতে
হয়;
এবং
ভিন্ন
ভিন্ন
দৃষ্টিকোণ
পেতে
সেই
তথ্যের
স্পষ্ট
ব্যাখ্যাও
দিতে
হয়।
আর
এই
কাজের
জন্য
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
হলো
ইন্টারভিউ
বা
সাক্ষাৎকার। মূলত “কে, কি,
কোথায়,
কিভাবে,
কখন
এবং
কেন”-
সাংবাদিকতার এই
মৌলিক
প্রশ্নগুলোর উপর
ভিত্তি
করে
তথ্যকে
আরও
সম্প্রসারিত করার
জন্য,
আমরা
সাক্ষাৎকার
ব্যবহার
করি।
স্বাস্থ্য,
অর্থনীতি,
রাজনীতি
কিংবা
সহস্রাব্দ
উন্নয়ন
লক্ষ্য
(এমডিজি)-
তা
সে
যে
বিটই
কাভার
করি
না
কেন,
সাক্ষাৎকারের ভূমিকা
অনস্বীকার্য। শুধু বিশেষজ্ঞ নয়,
ক্ষতিগ্রস্তদের কন্ঠস্বর
তুলে
ধরার
অন্যতম
পন্থাও
এই
সাক্ষাৎকার;
বিশেষ
করে
দারিদ্র্য
নিরসন,
দুর্নীতি,
লিঙ্গ
সমতা,
পরিবেশ
এবং
স্বাস্থ্যের মত
বিষয়ে
সংবাদ
সংগ্রহের
ক্ষেত্রে।
যাদের
কথা
কেউ
শোনেনি,
সেইসব
দরিদ্র
ও
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের
কথা,
বৃহত্তর
গোষ্ঠীর
সামনে
আসে
সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও
সত্য,
অনেক
সাংবাদিক
মনে
করেন,
সাক্ষাৎকার
কেবলমাত্র
প্রশ্ন
জিজ্ঞাসা
এবং
জবাব
নেয়ার
মধ্যে
সীমাবদ্ধ।
এই
গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা
অর্জনে
আমরা
খুব
একটা
মনোযোগ
দেই
না।
কিন্তু
ভালো
সাংবাদিক
হতে
হলে,
সাক্ষাৎকার
গ্রহণের
দক্ষতাকে
শিল্পের
পর্যায়ে
নিতে
হবে।
আর
তা
তৈরি
হয়
অনুশীলন
এবং
নিচের
সুনির্দিষ্ট কিছু
পদ্ধতি
অনুসরণের
মাধ্যমে:
১। প্রস্তুতি, প্রস্তুতি, প্রস্তুতি
সাক্ষাৎকার থেকে পাওয়া
তথ্যের
গুণগত
মান
অনেকটাই
নির্ভর
করে,
আমরা
কতটা
প্রস্তুতি
নিচ্ছি
তার
উপর।
যে
বিষয়টি
কাভার
করছেন,
তার
প্রেক্ষাপট
এবং
অন্ততঃপক্ষে সাক্ষাৎকারদাতা সম্পর্কে
মৌলিক
তথ্য
জানা
থাকা
জরুরী।
আর
এখানেই
আসে,
আপনার
স্টেশন
বা
পত্রিকার
পুরোনো
ফাইল,
ইন্টারনেট
এবং
লাইব্রেরি
ব্যবহারের
বিষয়টি।
হাতের কাছে একটি
প্রশ্নের
তালিকা
তৈরি
রাখুন,
অথবা
অন্তত
কিছু
বুলেট
পয়েন্ট,
যা
আপনি
জিজ্ঞেস
করতে
চান।
কিন্তু
নিজেকে
শুধু
সেই
তালিকায়
আটকে
রাখবেন
না।
তাহলে
আপনি
সাক্ষাৎকার
গ্রহনের
পরবর্তী
নিয়মটি
ভঙ্গ
করবেন।
২। শুনুন, শুনুন এবং শুনুন
সাক্ষাৎকার গ্রহনের সময়
সক্রিয়
ও
মনোযোগী
শ্রোতা
হয়ে
উঠুন।
শুধু
প্রশ্ন
তালিকার
দিকে
তাকিয়ে
থাকলে,
হয়ত
এমন
কোন
বক্তব্য
আপনার
কান
এড়িয়ে
যাবে,
যে
বিষয়ে
আপনি
ফলো-আপ
প্রশ্ন
করতে
চেয়েছিলেন,
অথচ
সাক্ষাৎকারদাতা এরইমধ্যে
তা
বলে
ফেলেছেন।
বিশেষ করে যখন
সাধারণ
মানুষের
সাক্ষাৎকার
নিচ্ছেন,
তখন
তাদের
দিকে
পুরোপুরি
মনোযোগ
দিন।
প্রায়ই
তারা
নিজেদের
কষ্টের
কথা
বলেন-
তাদের
প্রতি
শ্রদ্ধাশীল
হোন,
ভদ্রতা,
সহানুভূতি
ও
সক্রিয়তার
সাথে
তাদের
কথা
শুনুন।
৩। নিজেকে প্রশ্ন করুন: সাক্ষাৎকার থেকে কী বের করে আনতে চাই?
আপনি কি একটি
তাৎক্ষণিক
মন্তব্য
বা
সাউন্ড-বাইট
পেতে
সাক্ষাৎকারটি নিচ্ছেন?
অথবা
আপনি
কি
কোনও
বিষয়ের
উপর
প্রোফাইল
তৈরি
করছেন,
যেখানে
লম্বা
সময়
লাগবে
এবং
ভিন্ন
ভিন্ন
সেটিংয়ে
একাধিক
সাক্ষাৎকার
দরকার
হবে?
সাক্ষাৎকারটি যদি রেডিও
বা
টেলিভিশনের
জন্য
হয়,
তাহলে
জেনে
নিন,
ওই
ব্যক্তিকে
কতটা
ভালো
দেখায়
অথবা
কতটা
ভালো
শোনায়।
নিশ্চিত
হতে,
আগেই
টেলিফোনে
একটি
প্রাক-সাক্ষাৎকার
নিয়ে
রাখা
ভালো।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন:
সাক্ষাৎকারের কেন্দ্রবিন্দু
বা
ফোকাস
কী?
আমার
কি
কোন
পরিকল্পনা
রয়েছে?
৪। সেরা জায়গা বেছে নিন
সিদ্ধান্ত নিন,
ফোনে
(যদি
সম্প্রচার
মানের
সাক্ষাৎকার
দরকার
না
হয়)
নাকি
সামনাসামনি
সাক্ষাৎকার
নেবেন।
কখনও
কখনও,ব্যস্ত
মানুষেরা
১৫/২০
মিনিটের
জন্য
ফোনে
কথা
বলতে
রাজি
হন,
কিন্তু
সামনাসামনি
সাক্ষাৎকার
দিতে
চান
না।
কারণ
তারা
মনে
করেন,
এটি
বেশি
সময়
নিতে
পারে।
যদি সুযোগ থাকে,
তবে
সাক্ষাৎকার
গ্রহনের
সেরা
জায়গা
কোথায়
হতে
পারে
তা
নিয়ে
চিন্তা
করুন।
রেডিও
বা
টেলিভিশনের
জন্য
হলে,
সেটিং
এবং
’নয়েজ
লেভেল’
নিয়েও
চিন্তা
করুন।
৫। সাক্ষাৎকারদাতার জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন
কিছু লোক মাইক্রোফোন
দেখলে
কথা
বলতে
অস্বীকৃতি
জানান
অথবা
”ইন্টারভিউ”
শব্দটি
শুনলেই
অসাড়
হয়ে
যান।
তাকে
বলুন,
আপনি
তার
সময়
চান,
কিছু
কথা
বা
প্রশ্নের
উত্তর
জানার
জন্য।
সাক্ষাৎকার শুরুর আগে
ব্যক্তিগত
আলাপ-আলোচনা
বা
খোশগল্প
করে
ব্যক্তির
জন্য
স্বস্তিদায়ক পরিবেশ
তৈরি
করুন।
এবং
আপনি
যদি
অডিও
বা
ভিডিও
রেকর্ডিং
সরঞ্জাম
ব্যবহার
করেন,
তবে
তাকে
স্বাভাবিক
রাখতে
ব্যাপারটি
ব্যাখ্যা
করুন।
অপরাধ বা দুর্যোগের
ক্ষেত্রে
ভিকটিম
ও
ভিকটিমের
পরিবারের
সাক্ষাৎকার
গ্রহনের
সময়
বিশেষভাবে
সংবেদনশীল
হোন।
মনে
রাখবেন
পরিস্থিতি
যাই
হোক
না
কেন,যে
সব
মানুষ
সাক্ষাৎকার
দিতে
বা
ছবি
তুলতে
রাজি
হয়েছেন,
তারা
কেবল
তাদের
সময়ই
দিচ্ছেন
না,কোনও
কোনও
ক্ষেত্রে
কিছু
আদিবাসী
গোষ্ঠী
বিশ্বাস
করে,তারা
আপনাকে
তাদের
হৃদয়
উজাড়
করে
দিচ্ছেন।
ওই
উপহারের
জন্য
তাদের
প্রতি
খুবই
কৃতজ্ঞ
ও
সংবেদনশীল
হোন
এবং
সাক্ষাৎকার
গ্রহনের
সময়
খুবই
আন্তরিক
থাকুন।
যদি আপনার সাক্ষাৎকারদাতা কথা
বলার
সময়
আবেগতাড়িত
হয়ে
পড়েন,
তাহলে
সামলে
নেয়ার
জন্য
তাকে
কিছুটা
সময়
দিন।
বুঝতে
দিন,
যে
আপনিও
পরিস্থিতি
অনুধাবন
করতে
পেরেছেন।
তাতে
অন্যরাও
বুঝতে
পারবে,
কোন
পরিস্থিতিতে ওই
ব্যক্তি
সাক্ষাৎকার
দিতে
রাজি
হয়েছেন।
৬। সাক্ষাৎকারের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখুন
সাক্ষাৎকারের বিষয় (জেনারেল
ফোকাস)
সম্পর্কে
সাক্ষাৎকারদাতাকে জানিয়ে রাখুন।
তবে
আপনার
প্রশ্ন
তালিকা
তাকে
জানাবেন
না।
তাহলে
সেটি
স্ক্রিপ্টেড, কৃত্রিম বা বাগাড়ম্বরপূর্ণ সাক্ষাৎকারে পরিণত
হতে
পারে।
যদি আপনি মাইক্রোফোন
ব্যবহার
করে
থাকেন,
তাহলে
মাইকের
নিয়ন্ত্রণ
হারাবেন
না।
যার
সাক্ষাৎকার
নিচ্ছেন
তাকে
কখনোই
আপনার
কাছ
থেকে
এটার
দখল
নিতে
দিবেন
না।
কোনও সরকারি কর্মকর্তা
বা
অন্য
কারও
অফিসে
গেলে,
ডেস্কের
ওপার
থেকে
ইন্টারভিউ
না
করাই
ভালো।
দেখার
চেষ্টা
করুন
সেখানে
সোফা
বা
বসার
অন্য
কোনও
ব্যবস্থা
আছে
কিনা,
যাতে
আপনার
এবং
সাক্ষাৎকারদাতার মাঝখানে
দূরত্ব
কমে
আসে,
হোক
তা
অবস্থানের
বা
ক্ষমতার।
অন্যান্য পরামর্শ
কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা
সাধারণত তুলনামূলক সহজ
এবং
কম
বিতর্কিত
প্রশ্ন
দিয়ে
সাক্ষাৎকার
শুরু
করা
ভালো।
এতে
সাক্ষাৎকারদাতা স্বস্তি
অনুভব
করেন।
পরে
কঠিন
বিষয়
নিয়ে
আসা
যেতে
পারে।
আপনি
তৃতীয়
পক্ষের
অভিযোগ
তুলে
প্রশ্ন
করতে
পারেন।
যেমন
: “আপনার
বিরোধী
অমুক
যেমন
বলেন…জবাবে আপনি
কী
বলবেন?
ই-মেইল সাক্ষাৎকার
কখনও কখনও সামনাসামনি
হয়ে,
এমনকি
ফোনেও
সাক্ষাৎকার
নেয়া
সুবিধাজনক
নয়
বা
সম্ভব
হয়
না।
সেক্ষেত্রে
আপনি
ই-মেইলে
সাক্ষাৎকার
নেয়ার
কথা
চিন্তা
করতে
পারেন।
এটা
আদর্শ
কোনও
পদ্ধতি
নয়
– মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে যে
ডিটেইল
পাওয়া
যায়,
তা
ইমেইলে
পাওয়া
যায়
না।
সাক্ষাৎকারদাতা কোনও
প্রশ্নের
উত্তর
দিতে
সংকোচ
বোধ
করছেন
কিনা
অথবা
কথা
বলার
সময়
তার
আচরণে
সূক্ষ
কোনও
তারতম্য
– মূল্যবান এমন
পর্যবেক্ষণ
লিপিবদ্ধ
করার
কোনও
সুযোগ
সেখানে
থাকে
না।
অনুশীলন, অনুশীলন এবং অনুশীলন
সাক্ষাৎকার একই সময়ে
সাংবাদিকতা
চর্চার
সবচেয়ে
সহজ,
আবার
সবচেয়ে
কঠিন
অংশও
হতে
পারে।
প্রতিবার
ভালো
সাক্ষাৎকার
গ্রহনের
মাধ্যম
আপনার
কৌশলকে
শানিত
করুন।
কোন প্রশ্নগুলো একটি
সাক্ষাৎকারে ভালো
কাজ
করে?
·
খোলাখুলিভাবে ব্যক্তির নাম
ও
পদবি
জিজ্ঞাসা
করুন।
·
’ওপেন
এন্ডেড’
প্রশ্ন
করুন।
যাতে
তার
উত্তর
“হ্যাঁ”
বা
“না”
জাতীয়
উত্তরের
মধ্যে
সীমাবদ্ধ
না
হয়ে
পড়ে।
·
কন্ঠে নিরপেক্ষতা বজায়
রেখে
প্রশ্ন
করুন।
·
সংজ্ঞা, উদাহরণ ও
গল্প-কাহিনী
জানতে
চান।
·
আপনার শ্রোতা/পাঠকরা
জানতে
চান
এমন
প্রশ্ন
করুন।
·
প্রশ্ন করুন সংক্ষিপ্ত
এবং
টু
দ্যা
পয়েন্ট।
·
এক সাথে একটি
প্রশ্নই
করুন।
·
সম্পূরক (ফলো-আপ)
প্রশ্নের
জন্য
প্রস্তুত
থাকুন
এবং
অবশ্যই
এমন
প্রশ্ন
করতে
ভুলবেন
না,
যার
ফলো-আপ
প্রয়োজন।
·
কোন কিছু অনুমান
করবেন
না।
·
নিশ্চিত করুন, মন্তব্য
নয়,
আপনি
প্রশ্ন
করছেন।
·
সাক্ষাৎকারদাতার সাথে তর্ক
করবেন
না।
·
সাক্ষাৎকারে খুব বিস্তৃত
বিষয়
কাভারের
চেষ্টা
করবেন
না।
বরং
মূল
বিষয়ের
প্রতি
খেয়াল
রাখুন।
·
বিনীত,কিন্তু দৃঢ়
মনোবলের
অধিকারী
হোন।
আপনার
প্রশ্নের
উত্তর
না
পাওয়া
পর্যন্ত
জিজ্ঞাসা
করতে
থাকুন।
·
একটি সমাপনী প্রশ্ন
প্রস্তুত
রাখুন।
·
সাক্ষাৎকার শেষ হওয়ার
পর,
জিজ্ঞাসা
করুন
তিনি
আর
কিছু
যোগ
করতে
চান
কিনা।
(এটি
প্রায়ই
খুব
ব্যবহারযোগ্য ’চুম্বক অংশ’ বের
করে
আনতে
সহায়তা
করে।)এও
জিজ্ঞাসা
করুন,
তিনি
অন্য
কাউকে
সাক্ষাৎকারের জন্য
সুপারিশ
করেন
কিনা…
এবং
বলুন,
যদি
আপনার
আরও
প্রশ্ন
থাকে
কিংবা
কোনও
বিষয়
ষ্পষ্ট
করার
প্রয়োজন
পড়ে,
তাহলে
আবারও
আপনি
তার
সাথে
যোগাযোগ
করবেন।
ই-মেইল সাক্ষাৎকার পরিচালনার টিপস
০১. প্রায়শই,যখন
আমাকে
একটি
ই-মেইল
সাক্ষাৎকারের জন্য
বলা
হয়,তখন
আমাকে
একটি
দীর্ঘ
প্রশ্ন
তালিকা
পাঠানো
হয়,
যা
চিন্তাভাবনা করে
জবাব
দিতে
অনেক
বেশি
সময়
নেয়,
অথচ
অতটা
সময়
আমার
হাতে
থাকে
না।
সুতরাং
ই-মেইল
সাক্ষাৎকারই যদি
একমাত্র
বিকল্প
হয়,
তাহলে
সর্বপ্রথমে
আপনার
সোর্সের
সময়
নিয়ে
চিন্তা
করুন
এবং
নিজেকে
তিন
থেকে
পাঁচটি
প্রশ্নের
মধ্যে
সীমাবদ্ধ
রাখুন।
০২. আপনার সোর্সের
কাছে
নিজের
ও
আপনার
সংবাদ
সংস্থার
পরিচয়
দিন।
তাকে
জানান
কিভাবে
তার
সম্পর্কে
জানতে
পারলেন
– কোথা থেকে
তাদের
নাম
এবং
যোগাযোগের
ঠিকানা
খুঁজে
পেয়েছেন?
আপনি
যখন
প্রশ্ন
পাঠাবেন,তখন
যদি
প্রয়োজন
হয়
ফলোআপ
বা
স্পষ্টকরণ
প্রশ্ন
জিজ্ঞাসার
সুযোগ
রাখুন।
০৩. আপনার সময়সীমা
সম্পর্কে
তাদের
জানান।
আপনি
যদি
প্রত্যুত্তর না
পান
তাহলে
এর
ফলোআপ
করুন
এবং
একাধিক
সোর্সের
কাছেও
প্রশ্নাবলী
পাঠান,
বিশেষত
যদি
আপনি
ডেডলাইনের
কাছাকাছি
থাকেন।
০৪. একবার জবাব
পেয়ে
থাকলে,
যদি
আপনার
প্রয়োজন
হয়,
তাহলে
ফলোআপ
প্রশ্ন
করে
কোনও
বিষয়ে
ব্যাখ্যা
জানতে
চাইতে
পারেন।
পরবর্তীতে
তাকে
একটি
ধন্যবাদ
নোট
পাঠাতে
ভুলবেন
না।
এবং
বলে
রাখুন
চূড়ান্ত
প্রতিবেদন
বা
নিবন্ধ
তৈরি
হলে
এর
একটি
লিঙ্ক
আপনি
তাকে
পাঠাবেন।
(আপনি
যদি
লিঙ্ক
পাঠানোর
প্রস্তাব
করে
থাকেন,
তাহলে
পরবর্তীতে
তা
অনুসরণ
করুন)
০৫. স্কাইপ প্রাপ্যতা
সহজ
হলে,
ফোনে
সাক্ষাৎকারের জন্য
আমি
এই
প্রযুক্তি
ব্যবহার
করতে
পছন্দ
করি।
এখানে
এমন
সব
প্রোগ্রাম
রয়েছে,
যেখানে
সহজে
সাক্ষাৎকার
ধারণ
করা
যায়।
(সাক্ষাৎকারটি যে
রেকর্ড
করছেন
আপনার
সোর্সকে
তা
জানাতে
ভুলবেন
না)।
ফোন,স্কাইপ বা ইন্টারনেট যা-ই ব্যবহার করেন না কেন, আপনি সাক্ষাৎকার গ্রহনের জন্য প্রস্তুতি নিতে ভুলবেন না।
No comments