বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান আলোচনা কর.
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান আলোচনা কর. (অনার্স পরিক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-২০১৯)
পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের মধ্যে যে স্বাভাবিক বৈপরীত্য রয়ে গিয়েছিল, তা ক্রমে বাড়তে থাকার ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বেঁধে উঠতে থাকে। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীর হাতে বাঙালিদের প্রত্যক্ষ জাতিগত নিপীড়নের চূড়ান্ত রূপ হলো বাংলাদেশে একাত্তরের গণহত্যা। আসলে ১৯৪৭-এর পরবর্তীকালে পাকিস্তানের পূর্বাংশের (বাংলাদেশের) ওপর পশ্চিমাংশের কর্তৃত্বের ইতিহাস এবং বাঙালিদের সংগ্রামের, বিশেষত ১৯৬৬ সালের পর শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলনের ফলে পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙে যাওয়া ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার। একাত্তরের ঘটনাবলি ভারতের সামনেও আঞ্চলিক আধিপত্য সংহত করার বিরাট সুযোগ এনে দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে ভারতের ভূমিকা নির্ধারক হয়ে দেখা যায়।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের জনগণের ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা মৃত্যু ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। স্বভাবতই মানুষ এমন আবহ থেকে পালাতে চেয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভারতই হয়ে ওঠে আশ্রয়স্থল। এর পেছনে ভারতের গণতন্ত্র বা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি আবেগ বা উৎসাহের ভূমিকা যতটা না ছিল, তার চেয়ে মুখ্য ছিল ভৌগোলিক নৈকট্য এবং কৌটিল্যের ভাষায় এই যে, ‘শত্রুর শত্রু আমার মিত্র’। এপ্রিল নাগাদ প্রায় তিন লাখ মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। প্রতিদিন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ শরণার্থী হতে শুরু করে। ফলে গুণগতভাবে একদম ভিন্ন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। এ সংকট তখন বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ কাজে ভারত কালবিলম্ব করেনি।
ভারতের প্রথম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় ২৬ মার্চ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং তাঁর সরকারের উদ্বেগের কথা জানান। পরদিন ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক হয়। রাজ্যসভায় এক বক্তৃতায় ইন্দিরা গান্ধী সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা বলেন। নইলে পাকিস্তানের কর্মকাণ্ড ভারতের জন্য যে সুযোগ তৈরি করেছে, তা হয়তো নষ্ট হবে। এই সতর্কতামূলক মনোভাব নিয়ে ভারত নিজের গণমাধ্যম, প্রতিনিধি ও অন্যান্য উপায় কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং ভারতের ওপর এর প্রভাব, বিশেষত উদ্বাস্তুদের প্রসঙ্গ তুলে ধরতে থাকে। কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতেও তারা দেরি করেনি। এসবের পেছনে বিশ্ববিবেক জাগ্রত করার উদ্দেশ্য যেমন ছিল, তেমনই ছিল বাংলাদেশ প্রশ্নে দেশের ভেতর জাতীয় মতৈক্য গড়ে তোলা এবং তার পাশাপাশি বাংলাদেশিদেরও কাছে টেনে নেওয়া।
২৭ মার্চ দুপুরে কলকাতা রেডিও তাদের নিয়মমাফিক অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ রেখে বাংলা দেশাত্মবোধক গান আর বাংলাদেশে সামরিক অভিযানের সংবাদ বারবার পরিবেশন করতে থাকে। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি, ঢাকার শিক্ষার্থীরা মধ্য-মার্চেই যেটিকে জাতীয় সংগীত ঘোষণা করেছিল, ঘন ঘন বাজানো হয়। স্বাধীনতা বিষয়ে তখনো ভারতের অবস্থান নিয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও গানটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হূদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামরিক নেতৃত্ব এবং সাধারণ মানুষ শিগগির আশ্রয়, সাহায্য ও পরামর্শের জন্য ভারতের শরণাপন্ন হতে শুরু করে।
ভারত দক্ষ হাতে শরণার্থী সমস্যারও একটা ব্যবস্থাপনা করেছিল। বাংলাদেশের কেউ ভারতে পৌঁছালে খাদ্য, আশ্রয় ও নিরাপত্তা মিলত। জুন মাস নাগাদ প্রতিদিন এক লাখ করে মানুষ ভারতে শরণার্থী হতে থাকে। ভারতের অর্থনীতিতে এর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। অর্থনীতির দুর্বলতা সত্ত্বেও ভারতের আচরণ ছিল হূদ্যতাপূর্ণ। অন্যদিকে, শরণার্থীরা নির্বাসিত সরকারের গেরিলা সংগ্রহেরও বাস্তব সমাধান করে দিয়েছিল। প্রচুর পরিমাণে মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া যেত শরণার্থীদের থেকে। ভারতের কোনো নিরাপদ স্থানে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পরে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশে পাঠানো হতো।
বাংলাদেশের নির্বাসিত সরকার এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান—যেমন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, মুক্তিবাহিনী ইত্যাদি গড়ে তুলতে ভারত ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিল। আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়। এই সরকারের কার্যক্রম শুরু হয় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে বৈদ্যনাথতলায়। পাকিস্তানি বাহিনীর চাপে শিগগির প্রবাসী সরকার ভারতে সরে যেতে বাধ্য হয়। তখন কলকাতায় স্থাপন করা হয় এর প্রধান কেন্দ্র। অস্থায়ী সরকারের ব্যয়ের বড় অংশই বহন করে ভারত। এর ফলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অনেক অবাধে ও ব্যাপক মাত্রায় প্রচারণা চালানো সহজ হয়।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায়ও ভারত সহায়তা করে। কলকাতা রেডিও স্টেশনের একটি তলায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জায়গা করে দেওয়া হয়। এর কার্যক্রম শুরু হয় জুন মাসে, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়। ভারতের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা সম্ভব হয়।
মুক্তিবাহিনী গঠনেরও আগে, বাংলাদেশি গেরিলাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করে ভারত। এপ্রিলে মুক্তিবাহিনী গঠনের পর নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রসজ্জিত করার কাজটি মূলত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ওপর গিয়ে পড়ে। ভারতের বেশ কিছু সামরিক কেন্দ্রে গেরিলা ও প্রচলিত কায়দায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যদিও বাংলাদেশের যুদ্ধকৌশল প্রণয়ন করতেন এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। মুক্তিবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর দ্বারা প্রশিক্ষিত ও অস্ত্রসজ্জিত হলেও সেনা সংগ্রহ ও পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে স্বাধীন ছিল। বিষয়টি পরবর্তী সময়ে মুক্তিবাহিনীর বিষয়ে ভারত সরকারের হতাশা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছিল। বস্তুত এ কারণে ভারত ‘মুজিব বাহিনী’ নামের আরেকটি বাহিনী গঠনের দিকে ধাবিত হয়।
মানবিক বিবেচনার বাইরেও ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সঙ্গে শরণার্থীদের বন্ধনের জায়গা ছিল ধর্মীয় পরিচয়ে। মুসলমান শরণার্থীদের তুলনায় হিন্দু শরণার্থীদের হার ছিল অনেক বেশি। কারণ পাকিস্তানি বাহিনীর রোষের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বাঙালি হিন্দুরা। যদিও কিছু রাজনৈতিক দলের উসকানি ছিল, তবু ভারতের সরকার ধর্মীয় পরিচয়ের এই দিককে বিশেষ আমল দেয়নি।
ভারতের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বেশ তাড়াতাড়ি এবং প্রকাশ্য অবস্থান জানায়। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের আগে ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সজীব বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল। পুঁজিপতিরা মনে করেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে আগের মতো বাণিজ্য সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশ হবে ভারতীয় পণ্যের ‘স্বাভাবিক বাজার’।
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী লড়াইয়ের প্রতি ভারত সরকারের সমর্থনের শর্ত ছিল—এর নেতৃত্ব দেবে আওয়ামী লীগ। আনুষ্ঠানিক যুক্তি ছিল—যেহেতু আওয়ামী লীগ কিছুদিন আগেই সাধারণ নির্বাচনে জিতেছে, তাই দেশে-বিদেশে জনমত তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে।
আন্তর্জাতিক জনমত পক্ষে নিয়ে আসার জন্য ভারত দুটি নীতি গ্রহণ করে। প্রথমটি বাংলাদেশে বাম শক্তির উত্থাপনের আতঙ্ক ছড়ানো। বামভীতি ছড়ানোর মাধ্যমে ভারত চেয়েছে বাংলাদেশ-প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র তাকে সমর্থন জানাক, নতুবা নিরপেক্ষ থাকুক। যুক্তরাষ্ট্রবাসী হয়তো কমিউনিস্ট বাংলাদেশের থেকে তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়া কিংবা ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করাকেই ভালো মনে করবে। কিন্তু কেবল বামভীতি ছড়িয়েই যুক্তরাষ্ট্রকে কাছে টানা সহজ ছিল না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক তখন নতুন মোড় নিচ্ছে। অন্যদিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের নবায়ন এ অঞ্চলে ভারতের আধিপত্যকামী আকাঙ্ক্ষার জন্য হুমকি হওয়ার আশঙ্কা থেকে ভারতকে নতুন নীতি গ্রহণ করতে হয়েছে। এই দ্বিতীয় নীতিটি হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক তৈরি করা। জুলাইয়ে ভারত সরকার দুই বছরের পুরোনো সোভিয়েত প্রস্তাব দ্রুত গ্রহণ করে নিরাপত্তাভিত্তিক মৈত্রী চুক্তিতে পৌঁছায়। এই চুক্তি ভারতের আশু লক্ষ্য পূরণে অন্তত একটি পরাশক্তির সমর্থন নিশ্চিত করে। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের জোগান দেওয়ার ব্যবস্থাও করে সোভিয়েত ইউনিয়ন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে এই বিশেষ সম্পর্ক বাংলাদেশে ভারতের প্রত্যক্ষ সামরিক ভূমিকা নেওয়ার সুযোগ বাড়ায়। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ঝোঁক থাকলেও ভারতের আকাঙ্ক্ষা ঠেকাতে তখন তেমন কিছু করেনি। আন্তর্জাতিক সম্মতি আদায়ের প্রক্রিয়ায় ভারত শিগগির আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে যে পাকিস্তানের পক্ষে প্রত্যক্ষ সামরিক সম্পৃক্ততায় যুক্তরাষ্ট্র যাবে না। ভারত-সোভিয়েত চুক্তির ফলে সেই সম্ভাবনা আরও কমে যায়।
মধ্য-একাত্তর নাগাদ ভারতীয় শাসকশ্রেণী আপাত বিপরীতমুখী দুই নীতি গ্রহণ করে বাংলাদেশের সমস্যার সমাধানে সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্মতি নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হয়। কিন্তু সর্বাত্মক স্থল অভিযান শুরু করার জন্য বর্ষাকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তা ছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সামরিক সরঞ্জাম আসা সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ও ছিল। নভেম্বরের শেষে ভারতের জন্য সামরিক ও কূটনৈতিক উভয় দিক থেকে যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত ছিল।
মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধকৌশলে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করতে তিন ধাপের সামরিক লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছিল। ধাপ তিনটি যথাক্রমে মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের দ্বারা গেরিলা অভিযান, মুক্তিবাহিনীর নিয়মিত সদস্য ও গেরিলাদের সমন্বয়ে অভিযান এবং প্রচলিত কায়দায় সর্বাত্মক আক্রমণ। নভেম্বর নাগাদ মুক্তিবাহিনী তাদের যুদ্ধকৌশলের দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছায়। তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটায়। তবে তৃতীয় ধাপে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আগেই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
২১ নভেম্বর ভারতীয় ও পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে যশোরের বয়রার কাছে বিচ্ছিন্ন লড়াই হয়। ৩০ নভেম্বর ভারতীয় সংসদে ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সেনা প্রত্যাহার না করা হলে সীমান্ত এলাকা থেকে ভারত সেনা সরিয়ে নেবে না। তখন পাকিস্তান তার শেষ অস্ত্র হিসেবে ৩ ডিসেম্বর ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। উদ্দেশ্য, এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক দরবারে নিয়ে গিয়ে ভারতকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা। কিন্তু আন্তর্জাতিক মতামত গঠনে ভারত সফল হওয়ায়, বিশেষত জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন থাকায়, ভারতীয় বাহিনী মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় অত্যন্ত দ্রুত বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পাকিস্তানের যুদ্ধের পরিকল্পনা পুরোপুরি ভেস্তে যায়। এককভাবে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকে হারানো পর্যন্ত অপেক্ষায় না থেকে ভারতীয় বাহিনী দ্রুতবেগে ঢাকার দিকে যাত্রা করে। পাকিস্তানের যুদ্ধ ঘোষণা অবশ্য তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ তৈরি করে দেয়।
পাক-ভারত যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভারতের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করার জন্য ‘চূড়ান্ত বিবৃতি’ পাঠায়। পাকিস্তানি সেনারা ১৬ ডিসেম্বর এই যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে, যদিও সেখানে বাংলাদেশের সামরিক প্রধান জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে ভারত একদিকে একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে, অন্যদিকে এ অঞ্চলে তার স্বার্থ সংহত করতেও সক্ষম হয়।
ইমতিয়াজ আহমেদ: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments