গণমাধ্যম আইন ও সংবাদক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা
গণমাধ্যম আইন ও সংবাদক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা
সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সাথে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। কিন্তু কাগজে ও কলমে যত্রতত্রই আমরা এই স্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারিনা। কাজে ও লিখায় ‘অবাধ’ স্বাধীনতার প্রকাশ ঘটাতে চাইলেই ”যুক্তিসংগত বাধানিষেধ” সামনে এসে দাঁড়ায়।
সেই সকল বাধানিষেধ সাপেক্ষে, সত্য-মিথ্যা যাচাই করে কোন পক্ষ সঠিক, কোন পক্ষ নয় আদালত তা নির্ধারণ করে না দেয়া পর্যন্ত আইনের বেঅাইনি প্রয়োগ বহাল রাখতে আমরা সচেষ্ট থাকি।তবে কানুন যেমন আছে,কালাকানুনও আছে!
মূলত যে সকল আইন দ্বারা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাই গণমাধ্যম আইন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মানে এই নয় যে একজন সাংবাদিক যাচ্ছেতাই লিখবেন।
একথা সত্যি যে বাংলাদেশের মত অপরাধপ্রবণ দেশে সংবাদপত্রে যথাযথ প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে অপরাধপ্রবণতা কমে। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক ও মানবিক কাজের মাধ্যমে ভালো কাজে মানুষকে উৎসাহী করা হয়।
এতদস্বত্তেও সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। কেননা একজন সাংবাদিক যা ই লিখুক না কেন তাকে চোখ,কান সজাগ রাখতে হয় পেছনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় প্রচলিত আইনে তিনি বিপদে পড়ছেন কিনা। তা না হলে-
সাদা পোশাকে সরকারি এজেন্সি তাকে ধরে নিয়ে বিচারের সম্মুখীন করতে পারে
তার আগেই দিতে পারে আটকাদেশ কিংবা সমন,ওয়ারেন্ট ঝুলাতে পারে তার কাধে
স্বাধীনতা এমন একটি বিষয় যা দায়িত্বশীলতার সীমা অতিক্রম করতে পারেনা।তেমনি সাংবাদকর্মীদেরও স্বাধীনতার সীমা আছে। এই সীমা লংঘনকারী ব্যাক্তির গণমাধ্যম আইনের অধীনে বিচারের মুখামুখি হতে হবে।
সাংবাদিক ও সংবাদপত্র যে সকল অপরাধের শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে সেগুলো হল—
মানহানি
রাষ্ট্রদ্রোহ
অশ্লীলতা
গণশান্তি বিনাশ
শ্রেণী শত্রুতা বৃদ্ধি
ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত
নির্বাচন সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি
আদালত অবমাননা
সংসদ অবমাননা ইত্যাদি
সুতরাং একজন সংবাদকর্মীর সর্বদা চোখ,কান খোলা রেখে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে
No comments