রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্য লিখ। (অনার্স পরিক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-২০১৯)
রাসুল প্রেরণের উদ্দেশ্য
আল্লাহ
তায়ালা নবী
রাসুলদের কেন
পাঠালেন? এই
প্রশ্নের উত্তরে
ছোটবেলায় ইসলাম
শিক্ষা বইয়ে
পড়েছি- ‘যুগে
যুগে পথভোলা
মানুষকে পথ
দেখানোর জন্য
আল্লাহ তায়ালা
নবী রাসুল
পাঠিয়েছেন’। কথাটা
ঠিকই আছে। কিন্তু
এতে নবী
রাসুলদেরকে ধর্মপ্রচারকের বেশি মর্যাদা
দেয়া হয়
না। বিশেষ করে
শেষ নবী
মুহাম্মাদ (সাঃ)
এর ব্যাপারে
এই কথাটা
যথেষ্ট নয়।
কুরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ
আল্লাহই তার রসূলকে পথনির্দেশ ও
সত্য দীন সহকারে পাঠিয়েছেন যাতে তিনি একে সকল প্রকার দীনের ওপর বিজয়ী করেন, মুশরিকরা একে যতই অপছন্দ করুক না কেন৷
(সুরা তাওবা- ৩৩)
(সুরা তাওবা- ৩৩)
এখান থেকে আমরা কী দেখতে পাই? রাসুল প্রেরণের উদ্দেশ্য হচ্ছে– আল্লাহ্র দ্বীনকে পৃথিবীর অন্য সকল প্রকার দ্বীন বা মতবাদের ওপর বিজয়ী করা। নিছক কোন ধর্ম-প্রচার নয়।
রাসুল (সাঃ) কে এবং তাঁর মাধ্যমে মানবজাতিকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে– সেসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে আসল লক্ষ্য বাস্তবায়ন। এরকম কোন আয়াত আমার জানা নেই যেখানে বলা হয়েছে যে–আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর নবীকে পাঠিয়েছেন নামাজ পড়ার জন্য, হজ্ব করার জন্য। কিন্তু এখানে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে রাসুল (সাঃ) কে প্রেরণ করা হয়েছে যেন তিনি আল্লাহ্র দ্বীনকে অন্য সকল মত-পথের ওপর বিজয়ী, সুপিরিয়র রাখতে পারেন।
প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে কেন নামাজ-রোযা এসব ফরয করা হয়েছে ?
ধরা যাক একজন বাবা তাঁর ছেলেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করালেন। উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য অবশ্যই ছেলেকে ডাক্তার বানানো– যেন ছেলে ডাক্তার হয়ে মানুষের চিকিৎসা করতে পারে। মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে পারে। বাবা ছেলেকে উপদেশ দেয়ার সময় বলেন- তোকে পাঠাচ্ছি ডাক্তার হবার জন্য। ভালো করে লেখাপড়া করবি।
ডাক্তার হবার জন্য ছেলেকে সময়- রুটিন মত কলেজে যেতে হয়, ক্লাস করতে হয়, প্র্যাক্টিকাল করতে হয়। একজন ছাত্র কী করে ভালো ডাক্তার হবে? যদি সে তাঁর আসল উদ্দেশ্য- মানুষের চিকিৎসা করতে হবে এই কথা মনে রাখে।
রাসুল (সাঃ) কে এবং তাঁর মাধ্যমে মানবজাতিকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে– সেসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে আসল লক্ষ্য বাস্তবায়ন। এরকম কোন আয়াত আমার জানা নেই যেখানে বলা হয়েছে যে–আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর নবীকে পাঠিয়েছেন নামাজ পড়ার জন্য, হজ্ব করার জন্য। কিন্তু এখানে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে রাসুল (সাঃ) কে প্রেরণ করা হয়েছে যেন তিনি আল্লাহ্র দ্বীনকে অন্য সকল মত-পথের ওপর বিজয়ী, সুপিরিয়র রাখতে পারেন।
প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে কেন নামাজ-রোযা এসব ফরয করা হয়েছে ?
ধরা যাক একজন বাবা তাঁর ছেলেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করালেন। উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য অবশ্যই ছেলেকে ডাক্তার বানানো– যেন ছেলে ডাক্তার হয়ে মানুষের চিকিৎসা করতে পারে। মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে পারে। বাবা ছেলেকে উপদেশ দেয়ার সময় বলেন- তোকে পাঠাচ্ছি ডাক্তার হবার জন্য। ভালো করে লেখাপড়া করবি।
ডাক্তার হবার জন্য ছেলেকে সময়- রুটিন মত কলেজে যেতে হয়, ক্লাস করতে হয়, প্র্যাক্টিকাল করতে হয়। একজন ছাত্র কী করে ভালো ডাক্তার হবে? যদি সে তাঁর আসল উদ্দেশ্য- মানুষের চিকিৎসা করতে হবে এই কথা মনে রাখে।
আমাদের উদ্দেশ্য আর পাথেয় এই দুয়ের পার্থক্য বুঝতে হবে। ডাক্তার হওয়া উদ্দেশ্য- ক্লাস, পড়া এসব হচ্ছে ট্রেনিং, পাথেয়।
সুতরাং- নামাজ রোযা এবং অন্যান্য আমল সবকিছু হচ্ছে আল্লাহ্র দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য পাথেয়। এই ট্রেনিং ছাড়া যেমন আল্লাহ্র দ্বীনকে বিজয়ী করা এবং বিজয়ী রাখা সম্ভব নয়, তেমনি উদ্দেশ্য না বুঝে – লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ না করলে সবকিছু অর্থহীন ।
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ দেখান। আল্লাহ্র দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
No comments