মুতাজিলা কারা? যেভাবে মুতাজিলা সম্প্রদায়ের উত্থান ও মূলনীতি (অনার্স পরিক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-২০১৯)
মুতাজিলা
কারা? যেভাবে মুতাজিলা সম্প্রদায়ের উত্থান ও মূলনীতি
উত্তর : আবির্ভাব
ও আত্মপ্রকাশ : মুতাজিলাদের
আবির্ভাব সম্পর্কে প্রসিদ্ধ দুটি বিবরণ পাওয়া যায়। এক. মুতাজিলাদের আবির্ভাব হাসান
ইবনে আলী (রা.)-এর সময়ে। তিনি যখন মুয়াবিয়া (রা.)-এর খেলাফত পরিত্যাগ করেন, তখন
কিছু লোক হাসান (রা.) ও মুয়াবিয়া (রা.)সহ সব মানুষ থেকে পৃথক হয়ে যায়। রাজনীতি
ছেড়ে তারা শুধু ইলম ও ইবাদতে লিপ্ত থাকে। এবং আকাইদ নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। এখান
থেকেই ‘ইতিজাল’ মতবাদের সূচনা হয়। (আততানবিহ ওয়াররদ্দি আলা আহলিল আহওয়ায়ি
ওয়াল বিদায়ি, পৃষ্ঠা ৪১)
দুই. মুতাজিলা মতবাদের প্রবক্তা
ওয়াসিল ইবনে আতা (জন্ম : ৮০ হিজরি, মৃত্যু : ১৩১ হিজরি)। তৎকালীন সবচেয়ে
স্পর্শকাতর ও আলোচিত বিষয় ছিল—‘কবিরা
গুনাহকারী মুমিন, নাকি কাফির।’ এ
বিষয়ে ওয়াসিল বিন আতা নতুন অভিমত ব্যক্ত করেন। হাসান বসরি (রহ.)-এর মজলিসে সে
বলেন, ‘কবিরা গুনাহকারী
মুমিনও নয়, কাফিরও নয়। বরং তাদের স্থান ঈমান ও কুফরের মধ্যবর্তী।’ নির্ভরযোগ্য অভিমত অনুযায়ী, এটিই মুতাজিলা মতবাদের
সূচনাকাল। যদিও মুতাজিলাদের দাবি, তাদের মাজহাবের যাত্রা ওয়াসিলের অনেক আগে—আলী ইবনে আবি তালেব (রা.)-এর হাত ধরে। তাঁর কাছ থেকে তাঁর
পুত্র মুহাম্মদ ইবনুল হানাফি এ মতবাদ গ্রহণ করেন। তারপর উত্তরাধিকারসূত্রে পান
তাঁর পুত্র আবু হাসেম, যিনি ওয়াসিল ইবনে আতার শিক্ষক। তবে তাঁদের এ দাবির পক্ষে কোনো
নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। (নাশআতুল আসআরিয়া, পৃষ্ঠা ১২১)
মূলত ওয়াসিল ইবনে আতার মাধ্যমেই
১০৫ থেকে ১১০ হিজরির মধ্যে মুতাজিলা মতবাদের সূচনা ও প্রসার হয়। মুতাজিলা মতবাদের
যাত্রা কোন স্থান থেকে? এ প্রসঙ্গে মুতাজিলারা বলেন, মদিনা থেকেই এ মতবাদ যাত্রা
শুরু করে। কেননা তারা মুহাম্মদ ইবনে হানিফা ও আবু হাসেমকে এ মতবাদের প্রবক্তা
হিসেবে দাবি করে। আর তাঁরা দুজনই মদিনায় থাকতেন। ওয়াসিল মদিনায় জন্ম গ্রহণ করেন
এবং আবু হাসেমের কাছ থেকে এ মতবাদ গ্রহণ করেন। তারপর একে মদিনা থেকে বসরা নিয়ে
আসেন। কিন্তু সঠিক কথা হলো, মুতাজিলা মতবাদ বসরা নগরীতে প্রবর্তিত হয়। তাদের এ
বক্তব্য মুহাম্মদ ইবনে হানিফার মাধ্যমে আলী ইবনে আবি তালেব (রা.)-এর সঙ্গে
মুতাজিলা মতবাদের সম্পর্ক তৈরির অপচেষ্টা মাত্র। (আল মুতাজিলা, পৃষ্ঠা ১২)
যেভাবে মুতাজিলাদের উত্থান : মুতাজিলা মতবাদের উত্থানে বেশ কিছু বিষয় বিশেষ ভূমিকা
রাখে। বিষয়গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো—
মধ্যপন্থী হওয়ার অভিলাষ : ওসমান (রা.)-এর শাহাদাতের পর জামালের যুদ্ধ সংঘটিত
হয়। এ যুদ্ধ হয় আলী (রা.) ও মুয়াবিয়া (রা.)-এর মধ্যে। এ সময় মুসলমানদের মধ্যে চরম
অনৈক্য দেখা দেয়। মুসলমানরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। শাহাদাত লাভ করেন অনেক
সাহাবা। একে অন্যকে কাফির বলতে শুরু করেন। বিজ্ঞ আলেমরা যখন দেখলেন, মানুষ অবলীলায়
কবিরা গুনাহে লিপ্ত হচ্ছে, একে অন্যকে কারণ ছাড়া হত্যা করছে, তখন তাঁরা নিজ নিজ
গবেষণা অনুযায়ী কোরআন-হাদিসভিত্তিক সমাধান বের করায় আত্মনিবেশ করেন। এর ফলে দেখা
দেয় তীব্র মতবিরোধ। কবিরা গুনাহকারীর ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের রায়
হলো, তারা মুমিন, কাফের নয়। তবে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। কেননা কবিরা গুনাহকারীর
বিশ্বাস অবশিষ্ট থাকে। আর এটাই ঈমানের মূল বিষয়। অন্যদিকে খারেজিদের অভিমত হলো,
কবিরা গুনাহকারী কাফির ও চিরস্থায়ী জাহান্নামি। আর মরজিয়া মতবাদের অনুসারীদের
বক্তব্য হলো, কবিরা গুনাহকারী মুমিন এবং গুনাহর ব্যাপারে তারা ক্ষমার আশাবাদী।
এভাবে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে এবং বসরার মসজিদে মসজিদে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। হাসান বসরি
(রহ.)-এর মজলিসটি তন্মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল। হাসান বসরি (রহ.)-এর শিষ্য ওয়াসিল ইবনে
আতা চিন্তা করেন যে তিনি এ বিষয়ে সবার চেয়ে উৎকৃষ্ট সমাধান দেবেন! তিনি হাসান
বসরির বৈঠকে বলেন, ‘কবিরা
গুনাহকারী মুমিন নয়, কাফিরও নয়; বরং তারা ঈমান ও কুফরের মধ্যবর্তী।’ এ মতবাদ প্রকাশের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট রাখার
চেষ্টা করা হয়েছিল। কারণ আলী (রা.)-এর পক্ষ আলী (রা.)-এর বিরুদ্ধে অস্ত্র
ধারণকারীদের কাফির বলছিল, অন্যদিকে মুয়াবিয়া (রা.)-এর পক্ষ আলী (রা.)-কে অভিশাপ
দিচ্ছিল। এ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলে তারা
খুব একটা সফল হয়নি। বরং ইসলামী আকিদাপরিপন্থী তাদের নতুন এ মতবাদের জবাব দিতে গিয়ে
আরো বেশি মতবিরোধ ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রিক দর্শনের প্রভাব : তৎকালীন সিরিয়া, মিসর, ইরাক ও পারস্যে ইহুদি,
খ্রিস্টান ও অগ্নিপূজকদের মুসলমানদের একত্রে বসবাসের ফলে ইসলামী আকিদায় ভিন্ন
শাস্ত্রের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। সে সময় ব্যাপকভাবে গ্রিক, লাতিন, পারস্য ও ভারতীয়
নানা শাস্ত্রীয় গ্রন্থ আরবিতে অনূদিত হয়। একটি দল তখন এসব শাস্ত্র-দর্শনের প্রভাবে
কোরআন-হাদিসের চেয়ে শুধু যুক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এরাই
মুতাজিলা। ইহুদিদের অনেক আকিদার সঙ্গে মুতাজিলাদের মিল রয়েছে। যেমন—মুতাজিলাদের উল্লেখযোগ্য একটি আকিদা হলো, খালকে কোরআন বা
কোরআন সৃষ্ট হওয়ার আকিদা। ইবনুল আসির (রহ.) বর্ণনা করেন, ‘খালকে কোরআন’-এর প্রথম প্রবক্তা হলো লাবিদ ইবনে আসাম। আর সে ছিল ইহুদি।
এভাবে অন্য দর্শন ও শাস্ত্রের আশ্রয় নিয়ে তারা নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে।
আব্বাসীয় শাসকদের প্রত্যক্ষ মদদ : মুতাজিলাদের আবির্ভাব ঘটে উমাইয়া শাসনামলে। তাদের আগে
আত্মপ্রকাশ করা কদরিয়্যা ইত্যাদি দলের চেয়ে তাদের অবস্থান ছিল দুর্বল। তাই তারা
নিজেদের অস্তিত্বের জন্য একটি বৃহৎ শক্তি খুঁজতে লাগল। এ সময় উমাইয়াদের পতন হয়।
অতঃপর আব্বাসীয় খলিফা আল মামুন মুতাজিলাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এতে মুতাজিলা
মতবাদের ভিত মজবুত হয়। তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও আনুকূল্য লাভ করতে শুরু করে।
মুতাজিলাদের প্ররোচনায় খলিফা মামুন এই মতবাদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে ভিন্ন
মতাবলম্বী আলেমদের ওপর নির্যাতন, কারাদণ্ড, এমনকি হত্যা করতে শুরু করে। ২১২
হিজরিতে খলিফা মামুন ‘পবিত্র
কোরআন আল্লাহর বাণী নয়; বরং তা সৃষ্ট’—মুতাজিলাদের আলোচিত এ আকিদার প্রকাশ্য ঘোষণা দেন। আলেম,
মুহাদ্দিস, ফিকাহবিদ ও বিচারকদের প্রতি নির্দেশনা পাঠানো হয়—কেউ ‘খালকে
কোরআন’ স্বীকার না করলে তার
সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে বহু আলেম চুপ হয়ে যান।
কিন্তু আরো বহু আলেম সত্য তুলে ধরতে পিছপা হননি। এতে তাঁদের ওপর নেমে আসে অবর্ণনীয়
নির্যাতন। ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ.) তাঁদের একজন। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে
নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠায় মুতাজিলাদের এটি ছিল সবচেয়ে বৃহত্তম ও নিকৃষ্টতম
প্রচেষ্টা।
মুতাজিলা বাদীরা ধর্মকে যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং বলে যুক্তি ছাড়া কিছু গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। ব্রেন খাটিয়ে ইসলাম পালন করতে হবে বলে তারা বিশ্বাস করে।
মুতাজিলাদের চিন্তাধারাকে পাঁচটি মূলনীতির মধ্যে সংক্ষিপ্ত করা যায়ঃ
১। তারা আল্লাহর নাম ও গুণাবলী তথা সিফতকে আল্লাহর সাথে অন্তর্ভুক্ত করতে স্বীকার করে না। তারা যুক্তি দেয় আল্লাহকে কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যাবে না। তাই এগুলো আল্লাহর প্রতি দেওয়া যাবে না।
২। প্রাচীন গ্রীকদের মত মুতাজিলারাও মানুষের স্বাধীন ইচ্ছায় বিশ্বাস করে। তারা মনে করে যে আল্লাহ মানুষের ভাগ্য পূর্বনির্ধারণ করতে পারেন না। বরং মানুষ আল্লাহর ইচ্ছার বাইরেও সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৩। মুতাজিলারা তাদের যুক্তি প্রয়োগ করার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে আল্লাহর কোন দয়া বা অনুকম্পা হবে ন্যায়বিচারের লঙ্ঘন ও তাঁর প্রকৃতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। মুতাজিলারা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ পরিপূর্ণ ন্যায়বিচার করতে বাধ্য।
৪। মুতাজিলারা মনে করে যে একজন মুসলিম যদি সর্বোচ্চ পাপ বা কবিরা গুনাহ করে তাওবা করা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করে, তবে ঐ ব্যক্তিকে বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী-এই দুইয়ের কোনটির মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। তবে চির জাহান্নামী হবে।
৫। ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ’ ধারণাকে মুতাজিলারা গ্রহণ করে। এই লক্ষ্যে শক্তিপ্রয়োগকে তারা বৈধ মনে করে, যা মিহনা নামে নতুন এক ধারণার সাথে পরিচিত করায়।
এখন আমরা দুটি শব্দের সাথে পরিচিত হই। ইলমুল কালাম ও আকল।
ইলমুল কালাম হল সেই পথ যা যুক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে দ্বীনকে ব্যাখার চেষ্টা করে। আর আকল মানে হল বুদ্ধি। এখানে তারা শরীয়তের দলিল ও ফাতয়া দেবার সময় বুদ্ধিকে প্রাধান্য দেয়।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, “ Those who are most feared to fall into misguidance are the moderates from the scholars of scholastic philosophy, because they fall into it and they think that they are safe. Those who enter it will learn
falsehood and corruption.”
ইমাম আবু হানিফা তার ছাত্রদের ইলমুল কালাম থেকে দূরে থাকতে বলতেন।তিনি বলতেন, “Those who practiced it, are those retarded individuals.”
ইমাম মালিক বলেন। “Whoever seeks the knowledge through 'Ilm ul Kalaam will deviate.”
ইমাম শাফেই বলেন, “That no knowledge of Islaam can began with the books of 'Ilmul Kalaam, as Kalaam is not knowledge. And it is better for a man to spend his whole life doing whatever Allaah has prohibited except for Shirk than to spend his life involved in Kalaam.”
ইমাম আহমাদ বলেন। “No one looks into Kalaam unless there is corruption in his heart. Whoever looks into it will have his heart corrupted or his heart is already corrupted, as he has a deviant kind of inclination so he finds what is pleasurable to him in 'Ilm ul Kalaam."
তিনি এদের সাথে বসতেও নিষেধ করে দিয়েছেন। “They should not sit with them even if they were defending the Sunnah.”
ইবনে তাইমিয়া আরও বলেন, “He spoke the truth, and it is to be feared in all fields of learning. There is a group who do not know the way, because they do not see themselves as not having really entered to the field and then they leave it to the others. And they did not reach the pinnacle of the field or mastery, so they become misguided and that is the consequences.”
ইবনে উসাইমিন ইবনে তাইমিয়ার বানীর কমেন্টে বলেন ," They will become misguided and they misguide others. This means that the people who are in the most dangerous position are those with moderate stands."
ইলমুল কালামের তিনটি দিক আছে।
১। এটা আল্লাহর নাম গুণাবলী নিয়ে চিন্তা করে।
২। অনেক হাদিস অস্বীকার করে নিজেদের যুক্তি মত।
৩। বুদ্ধি বা জ্ঞানকে ওহির আগে স্থান দেয় যুক্তি খাটিয়ে। অর্থাৎ বুদ্ধি দিয়ে যেটা ঠিক মনে হয় নিজের খেয়াল মত সেটা মানে।
ইসলাম সবচেয়ে যুক্তিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। তবে এই যুক্তি আল্লাহর নিকট হতে আসা। একজন সাধারণ মানুষের নিজের অনেক যুক্তি এখানে নাও মিলতে পারে। কারণ মানুষের জ্ঞান সীমিত।
বর্তমানে এই মুতাজিলাদের সৃষ্ট উসুলের পতাকা ধারী হছে পশ্চিমা ভাবধারার মডারনিস্ট/মডারেট মুসলিম ও ইসলামিক ফেমিনিস্টরা। তারা নিজেদের যুক্তি দিয়ে নিজেদের পছন্দ মত নিয়ম নীতি মেনে চলার চেষ্টা করে। তাদের যদি দলিল জানতে চান তবে তারা কুরআন ও সুন্নাহ থেকেই দলিল দিবে। সাথে দিবে বিশাল সব যুক্তি ও ব্যাখা যার সাথে ইসলামের স্বর্ণযুগের স্কলারদের কোন মিল নাই।
কিছু বৈশিষ্ট্য
১। নিজেকে ইসলামের সাথে না মিলিয়ে। ইসলামকে নিজের ধারায় আনতে চায়।
২। যুক্তি/লজিক সবার আগে থাকে।
৩। আগে নিজে সিদ্ধান্ত ঠিক করে তারপর সেটা সাপোর্টে যুক্তি বানায় ও দলিল বানায়।
৪। ইসলামী জ্ঞানের লেভেল বেশী গভীর না। তবে অনেক জ্ঞানগর্ভ কথা বার্তা বলে।
৫। এদের নানা পর্যায় থাকে। কেউ কম কেউ বেশী। সর্বোচ্চ ধাপের কিছু নমুনা মহিলা ইমাম জামাতে নামাজ পড়ায়, সমকামিতাকেও বৈধ প্রমাণ করে ছাড়ে।
এদের নিয়ত, বিভ্রান্তি ও পথভ্রষ্টটার উপর ভিত্তি করে ফাসেক(পাপাচারী মুসলিম) থেকে কাফের পর্যন্ত হতে পারে।
No comments